মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রথম স্ত্রীর দেওয়া আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন স্বামী, তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং এক শিশু সন্তান। 

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনা ঘটিয়ে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথম স্ত্রী সুমি আক্তার (৪২) হাজিপুর পুলিশ ক্যাম্পে আত্মসমর্পণ করেন।

দগ্ধরা হলেন- স্বামী বাহারুল ইসলাম (৫০), তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী বেগম (৩০) ও তাদের ১৩ মাসের শিশু সন্তান রোহান। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাহারুল ইসলাম তার দ্বিতীয় স্ত্রী গার্মেন্টসকর্মী লাভলী বেগম ও তাদের ছেলে রোহানকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। দুই দিন আগে ছেলে রোহানকে নিয়ে তারা মাগুরার বাড়িতে আসেন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে বাহারুল ইসলামের শোওয়ার ঘরে তার প্রথম স্ত্রী সুমি আক্তার বাইরে থেকে দরজার সিটকিনি লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই ঘরে তখন বাহারুল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তাদের শিশুসন্তান ঘুমিয়ে ছিল। একপর্যায়ে তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে দুপুরে ১২টার দিকে তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

বাহারুলের মা বলেন, গত রাতে সুমি দোকান থেকে পেট্রোল কিনে এনে আমার ছেলের ঘরে আগুন দিয়েছে। সেখানে আমার ছেলের ছোট বউ আর আমাদের ছোট নাতি ঘুমিয়ে ছিল।

মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দগ্ধ তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। মাগুরায় বার্ন ইউনিট না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করা হয়েছে।

হাজীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) আনসারুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে ওই ব্যক্তির প্রথম স্ত্রী সুমি আক্তার স্বেচ্ছায় হাজীপুর পুলিশ ক্যাম্পে আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরে পর অভিযুক্ত সুমি খাতুনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তাছিন জামান/আরকে