জয়পুরহাটে পুলিশের কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ১৩ জন। কিন্তু এই ১৩ জনের পেছনে লড়েছেন মোট এক হাজার ২৯৪ জন প্রার্থী। আর এক পদের জন্য লড়াই করতে হয়েছে ৯৯ জনকে। কঠোর যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষার পর চূড়ান্ত তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৩ জন। এতেই ১৩ জনের চোখে এসেছে আনন্দাশ্রু।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় পুলিশ লাইন্সের ড্রিলসেডে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব আনুষ্ঠানিকভাবে কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ ১৩ জনের নাম ঘোষণা করেন। এ তালিকায় আরও তিন জনকে  অপেক্ষমান হিসেবে রাখা হয়েছে।

জেলা পুলিশের তথ্য মতে, জয়পুরহাট জেলায় পুলিশের কনস্টেবল পদে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মোট এক হাজার ৯৪ জন চাকরি প্রার্থীরা ১২০ টাকায় আবেদন করেন। গত ১৩-১৫ আগস্ট যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর চলতি মাসের ২৯ আগস্ট ১৭৮ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে ২৫ জন উত্তীর্ণ হন। বুধবার তাদের মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজার এলাকার মোছা. ভাবনা পুলিশের কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি বলেন, আমার বাবা মারা গেছেন। আমি নানা বাড়িতে থাকি। মা ঢাকায় একটি পোশাক কোম্পানীতে চাকরি করেন। নানা ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। আমি পুলিশের চাকরি পাবো, এটি স্বপ্নের মতো ছিল। কিন্তু আজ তা বাস্তব হয়েছে। 

সদরের পাঁচুরচক এলাকার শফিউল ইসলাম বলেন, আমার বাবা একজন কৃষক। আমি ১২০ টাকায় পুলিশ চাকরির জন্য আবেদন করেছি। আর কোনো টাকা লাগেনি। ঘুষ কিংবা তদবির ছাড়াই আমার পুলিশে চাকরি হয়েছে। আমার পরিবারে আজ সবাই খুশি।

এসপি মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, ভাইবাতে আমরা ১৩ জনকে চূড়ান্ত করেছি। এরমধ্যে দুজন নারী ও ১১ জন পুরুষ সদস্য। এদের সবারই আর্থিক অবস্থা তেমন একটা ভালো নয়। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া আমরা সম্পূর্ণ করেছি।

চম্পক কুমার/এমএসএ