পাবনা গণপূর্ত অফিসে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৬ জুন) পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের শোকজ করা হয়। একই ঘটনায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। 

শোকজপ্রাপ্তরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিলুপ্ত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন ও পৌর আওয়ামী লীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন। 

এ ব্যাপারে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউর রহিম লাল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্সের সঙ্গে কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। 

তবে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির উদ্দিন আহমেদ মান্না ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স স্বাক্ষরিত চিঠি শোকজপ্রাপ্ত মহসীন রেজা খান মামুন (এম আর খান মামুন) এবং হাজী ফারুকের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে হোয়াটসঅ্যাপ ও কুরিয়ার করে পাঠানো হয়েছে।

পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বলেন, বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে আমরা শেখ লালুকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আজকালের মধ্যে কেন্দ্র বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানাবে।

উল্লেখ্য, পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিলুপ্ত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান মামুন ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু ২৫/৩০ জন সহযোগী নিয়ে গত ৬ জুন বেলা ১২টার দিকে সশস্ত্র অবস্থায় পাবনার গণপূর্ত অফিসে ঢুকে মহড়া দেন। ওই দিন অস্ত্র নিয়েই তারা কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে ঢোকেন। ওই সময় তাদের সঙ্গীরা বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। ১২টা ১২ মিনিটে তারা ফিরে যান। 

১২ জুন সিসিটিভি ফুটেজে তাদের অস্ত্রের মহড়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে ওই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আলোচিত এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও গণপূর্ত বিভাগের কোনো অভিযোগ না থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।

রাকিব হাসনাত/আরএআর