নিখোঁজ ইজবাইক চালকের মরদেহ মিলল পরিত্যক্ত ভবনে
বাগেরহাটে একটি খামারের পরিত্যক্ত ভবন থেকে নিখোঁজ ইজবাইক চালক শহিদুল মোল্লার (৪৭) মরদেহ পাওয়া গেছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার আগমুহূর্তে সদর উপজেলার কালদিয়া গ্রামে সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্তসহকারী ফিরোজ হাওলাদারের মালিকানাধীন ইফাদ ডেইরি ফার্মের একটি পরিত্যক্ত কৃষি খামারের দুই তলা ভবনের নিচতলার সিড়ির নিচে ওই চালকের মরদেহ পাওয়া যায়। তার মুখে স্কচটেপ প্যাচানো ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। খুলনা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা এলে আলামত সংগ্রহের পরে মরদেহ উদ্ধার ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। শনিবার বিকেল পৌনে ৪টা থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে কেউ হত্যা করে মরদেহ সিড়ির নিচে রেখে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
হত্যার শিকার ইজিবাইক চালক পিরোজপুর জেলার নুরুল ইসলাম মোল্লার ছেলে। তিনি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বাগেরহাট শহরের মহিলা কলেজ সড়ক এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
হত্যার শিকার ইজিবাইক চালকের স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার দুপুরে বাসা থেকে খেয়ে ইজিবাইক চালাতে বের হন। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তার স্ত্রীর মোবাইলফোনে কল দিয়ে শহিদুলের শ্যালককে ইফাদ ডেইরি ফার্মের সামনে আসতে বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে শ্যালক নাসির শেখ ইফাদ ডেইরি ফার্মের সামনে গেলেও শহিদুল মোল্লাকে পায়নি। এরপর থেকেই তারা শহিদুল মোল্লাকে খুঁজতে থাকে। শহিদুল মোল্লার হত্যার বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা।
বিজ্ঞাপন
ইজিবাইক চালকের স্ত্রী শিউলি বেগম বলেন, আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। তার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা এলে আলামত সংগ্রহের পরে মরদেহ উদ্ধার ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। হত্যার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
শেখ আবু তালেব/আরকে