ইভটিজিংয়ের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত যুবদল নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
জামালপুরে ইভটিজিংয়ের দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত যুবদল নেতা মো. সজল মাহমুদকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা যুবদল।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জামালপুর জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান লিটন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
জামালপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম খান সজিব ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো. সজল মাহমুদ জামালপুর সদর উপজেলার ১ নম্বর কেন্দুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সদস্য। তিনি ওই ইউনিয়নের কেন্দুয়া এলাকার শামিম মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
গত ৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ে যুবদল নেতা সজল মাহমুদ স্কুল চলাকালীন ছাত্রীদের উত্যক্ত করেন। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। ১১ সেপ্টেম্বর সজল মাহমুদ আবারও বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আটক করে রাখে। পরে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিন্নাত শহীদ পিংকি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। বর্তমানে তিনি কারা ভোগ করছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে জামালপুর সদর উপজেলার অন্তর্গত ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য মো. সজল মাহমুদকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল, জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম খান সজিব ও সদস্য সচিব সোহেল রানা খান ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। বহিষ্কৃত মো. সজল মাহমুদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জামালপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম খান সজিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সজল মাহমুদকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুত্তাছিম বিল্লাহ/এএমকে