বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৭টি নমুনা পরীক্ষায় আরও ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময় মারা গেছে একজন। ফলে নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী জেলায় সংক্রমণের হার প্রায় ৪৯ শতাংশ।

এ নিয়ে বাগেরহাটে ২ হাজার ৩৮৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬১৫ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৩ জন। বিভিন্ন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬৯ জন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির এসব নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মার্চ থেকে বাগেরহাটে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। এই সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে ইতোমধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এ ছাড়া সংক্রমণের দিক থেকে সব থেকে ওপরে থাকা মোংলা উপজেলাতে ৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সেখানে সংক্রমণের হার ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

এই উপজেলায় তৃতীয় বারের মতো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে, যা চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। তবে কঠোর বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের চলাচল বেড়েছে। হাটবাজারে রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। নৌকাতে গাদাগাদি করে যাত্রী পারাপার চলছে। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

সিভিল সার্জন মোংলা সম্পর্কে বলেন, জেলার সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে মোংলা। সেখানে প্রতিদিন সংক্রমিত রোগী বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের হার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে। যা উদ্বেগজনক। এ ছাড়া উপকূলীয় শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা দুটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

তানজীম আহমেদ/এনএ