নবীনবরণ অনুষ্ঠান থেকে শিবির নেতাকে বের করে দিলেন বিএনপি নেতা
অনুষ্ঠানে নবীনদের বরণ করে নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার আব্দুল্লাহ মিয়ারহাট কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠান থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক নেতাকে গালাগালি ও হুমকি দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটনের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ মিয়ারহাট কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবিরের কবিরহাট দক্ষিণ শাখার সভাপতি মনির হোসেন বক্তব্য দেওয়ার সময় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন। ওই শিবির নেতাকে দাওয়াত দেওয়ায় তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের নেতারা অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনের নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ শাখা। দক্ষিণ শাখার সভাপতি সাইফুর রসূল ফুহাদ ও সেক্রেটারি আরাফাত হোসাইন সিফাত এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন, আমন্ত্রিত অতিথিকে অপমান ও হুমকি দেওয়া গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শিষ্টাচারের পরিপন্থি। এটি ফ্যাসিবাদী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী মনির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কলেজের শিক্ষকরা আমাকে দাওয়াত দিয়েছেন। আমি নবীনদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখেছি। বিএনপি নেতা কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং আমাকে বের করে দেন। আমি যথাযথ বিচার না পেলে সংগঠনের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা। আমরা ভূমিদাতা। শিক্ষকদের বেতনও আমরা দিয়ে থাকি। আমার কাকা আমাকে উপস্থিত হতে বললে আমি অনুষ্ঠানে যাই। অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অন্য দলের লোকজনকে দাওয়াত দেওয়ায় আমি আলাপ তুলেছি। তারপর কলেজের অধ্যক্ষ তাকে বের হয়ে যেতে বলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন বিষয়টি এড়িয়ে যান, তিনি সরাসরি কথা বলতে কলেজ ক্যাম্পাসে আসতে বলেন এবং ক্লাস আছেন উল্লেখ করে ফোন রেখে দেন।
হাসিব আল আমিন/আরএআর