শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে দুইজন নিখোঁজ, একজনের মরদেহ উদ্ধার
বামে শার্ট পরা নিখোঁজ ইসমাইল (১৭), ডানে মৃত উদ্ধার হওয়া শিশু হুমায়ুন (১২)
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে উপজেলা সদরের বাজারসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পানির তীব্র স্রোতে বাঁধ ভেঙে পড়লে খৈলকুড়া বাজার এলাকার অন্তত ১২ থেকে ১৪টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন স্থাপনাও ভেসে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ১২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ঝিনাইগাতীর ডাকাবর এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল্লাহর ছেলে ইসমাইল (১৭) মহারশি নদীর তামাগাঁও এলাকায় নদীতে গাছ ধরতে গিয়ে পানির স্রোতে নিখোঁজ হয়েছেন।
অন্যদিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা সেতু এলাকায় ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে চেল্লাখালী নদীতে ডুবে যায় হুমায়ুন (১২) নামের এক শিশু। সে স্থানীয় দুলাল মিয়ার ছেলে এবং বুরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ডুবুরি দল দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়েও তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে রাত সোয়া ৮ টার দিকে ডুবে যাওয়া স্থানের প্রায় ৫০০ মিটার দূরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
বিজ্ঞাপন
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তত ১১৩ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ ও রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামানের কাছ থেকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চেল্লাখালি, মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে অন্যদিকে ভোগাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি নাকুগাঁও পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৫ সেঃমিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, রাতে এটি ডেঞ্জার লেভেলে পৌঁছাতে পারে। তবে আগামীকাল থেকে সকল নদীর পানি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাইমুর রহমান তালুকদার/এআরবি