নোয়াখালীর আতিথেয়তায় মুগ্ধ ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান নোয়াখালী সফরে এসে এখানকার মানুষের আন্তরিকতা ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন। সফরকালে তিনি নোয়াখালীর ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্যের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, নোয়াখালীর মানুষ অত্যন্ত আন্তরিক, অতিথিপরায়ণ। গত দুই দিনে আমি প্রায় ১০ রকমের পিঠা খেয়েছি। তারমধ্যে পান্তুয়া পিঠা, গুড়া পিঠাও রয়েছে। পিঠাগুলো অনেক ভালো লেগেছে। এই অঞ্চলের মানুষ অনেক বেশি অতিথিপরায়ণ। অনেক বাসায় গিয়েছি তারা গভীর মমতায় আমাকে বরণ করেছেন। চেয়ারম্যান ঘাট দেখতে গেলাম সেখানেও বহু মানুষ আসলেন কথা বললেন বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এই এলাকার বহু দিনের ঐতিহ্য অতিথিপরায়ণতা, মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক, মমতা। যেটি এখনও অক্ষুণ্ণ আছে। এ জেলার সম্ভাবনা সত্যিই অনন্য।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (নোবিপ্রবি) স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে কাজ করবে। অনেক রকম সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নোবিপ্রবি তার একটা অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। এখানে অবকাঠামোর অভাব, প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব রয়েছে। এখানের শিক্ষকদের আন্তর্জাতিক গবেষণায় শক্ত অবস্থান রয়েছে। এই অঞ্চলের বিশেষায়িত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, নোয়াখালীর মানুষ প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার মানুষ। তারা সব থেকে বেশি রেজিলিয়েন্ট। এই অঞ্চলে বেশ কিছু উদ্বাবনী মূলক কাজ হয়েছে। এখানে অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ
করেছে৷ বিপদের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মেডিকেল সেন্টারসহ নানান সুযোগ সুবিধা দিয়ে মানুষের পাশে আছে। করোনাকালীন সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অবদান রয়েছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নোবিপ্রবির সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাই।
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়ন, গবেষণা সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এতে করে পরস্পরের হাত শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, নোবিপ্রবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. শিবলুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
হাসিব আল আমিন/আরকে