রাজবাড়ী সদর উপজেলার বার্থা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো.ফিরোজ হায়দারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় রাজপথে নেমে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২১সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) ও শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির আয়োজনে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে ও প্রতিবাদ সভাতে বক্তারা বলেন, বার্থা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো.ফিরোজ হায়দার একজন নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী মানুষ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) নিজ বাড়ি থেকে ভোরে হাঁটার উদ্দেশ্যে বের হলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও নিষিদ্ধ সংগঠন যুবলীগের ক্যাডার মাহফুজ শিক্ষক ফিরোজ হায়দারের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায়, মুখে, চোখের নিচে, কানে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত ও জখম করে। তার শরীরে ৪০টির বেশি সেলাই লাগে। এমন সন্ত্রাসী হামলার শিকার শুধু একজন শিক্ষকের উপরই নয়, বরং সমগ্র শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষাঙ্গনের উপর হামলা বলে আমরা মনে করি। এই ঘটনার পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির রাজবাড়ী জেলার আহ্বায়ক ও আল্লা নেওয়াজ খায়রু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী আহসান হাবীব, যুগ্ম আহ্বায়ক এ. মজিদ বিশ্বাস, সদস্য সচিব  মো.জাহাঙ্গীর আলম শেখ, অংকুর স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক শেখ আব্দুর রহফ হিটু, বার্থা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন খান, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও চর জৌকুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মইনুল হোসেন,  রাজা সূর্য কুমার ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জহুরুল হক, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির রাজবাড়ী জেলা শাখার সদস্য সচিব মীর মনিরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে আয়োজকেরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সভা করেন। এরপর তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। মানববন্ধনে ও প্রতিবাদ সভাতে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এআরবি