মা ইলিশ রক্ষা অভিযান, রাজবাড়ীতে ৭ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
মা ইলিশ রক্ষায় সরকারঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসনসহ মৎস্য অধিদপ্তর।
গতকাল বিকেলে গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট থেকে ছাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকা পর্যন্ত এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) পায়ারা চৌধুরীর নেতৃত্বে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়ন থেকে মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর এলাকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট থেকে ছাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ ও দুই জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান। এ সময় জব্দকৃত জাল দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন— দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি ত্রিনাথ সাহা, এসআই মেহেদী হাসান অপূর্বসহ উপজেলা মৎস্য বিভাগের একটি দল।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে বিকেলে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়ন থেকে মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর এলাকার পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় এক জেলেকে মোবাইল কোর্টে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে ২ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও দেড় কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। অভিযানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) পায়রা চৌধুরী।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কঠোর অবস্থানে থেকে অভিযান পরিচালনা চলছে এবং এ অভিযান প্রতিদিনই পরিচালনা করা হবে। এ সময় নদীতে থাকা জেলেদের আটকসহ জাল ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ এবং আটকৃতদের মৎস্য আইন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হবে। সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময় পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক বলেন, ইলিশ আমাদের দেশের একটি সম্পদ। তাই এই প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করব।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব উল হক বলেন, জেলায় ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত ৫ হাজার ৪৯৭ জন জেলের মধ্যে সদর, কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলায় ১২৮০ জন জেলের মাঝে মোট ৩২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। বাকি ৪২১৭ জনকে চাল বিতরণের কাজ আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমে একই সাথে অভিযান/মোবাইল কোর্ট, সচেতনতা বিষয়ক কার্যক্রম ও ভিজিএফ বিতরণ চলমান রয়েছে।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এনএফ