যমুনার ভাঙনে শহরাবাড়ি নৌঘাট নদীতে, আতঙ্কে ৮ গ্রামের মানুষ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলার শহরাবাড়ি ঘাট এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার দুপুরে শুরু হওয়া ভাঙনে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে শিমুলবাড়ি থেকে শহরাবাড়ি পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি হারিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
শহরাবাড়ি নৌঘাট এলাকার ব্যবসায়ী মতিনুর রহমান জুয়েল জানান, দুপুরে ভাঙনে তারসহ অন্তত ৬ ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠান মুহূর্তের মধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কার, আব্দুর রশিদ ও লিটনসহ অনেকে ঘরবাড়ি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রোপণ করা ঐতিহাসিক বটগাছটিও।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে এবং এ কারণেই ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তারা জানান, প্রতিবাদে বহুবার মানববন্ধন হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হঠাৎ পানি এক মিটার বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ক্ষয়রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ.কে.এম. তৌহিদুল আলম মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়দের দাবি, প্রতিদিনই ঘরবাড়ি ও জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এক বাসিন্দা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের চোখের সামনে সবকিছু ভেসে যাচ্ছে, আমরা কিছুই করতে পারছি না। নদীভাঙনের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।
এমএএস
বিজ্ঞাপন