রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় বড় ভাই মুক্তার হোসেনকে (৩০) পিটিয়ে হত্যা করেছেন ছোট ভাই রুহুল আমিন। একই সঙ্গে ভাবিকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় মুক্তারের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগমকে (২৫) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধবপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুক্তার হোসেন ওই এলাকার সাহেব উদ্দিনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বিরামপুর-সার্কেল) মিথুন সরকার।

পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান বলেন, বড় ভাই মুক্তার হোসেন ছোট ভাই রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে মারধরের অভিযোগ আনেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে রুহুল আমিনের নামে নোটিশ করা হয়। আগামী শনিবার দুই ভাইকে নিয়ে পরিষদে বসার কথা ছিল। সেই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাই মুক্তার হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা করেন রুহুল আমিন।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুুপুুরে ছোট ভাই রুহুল আমিন লাঠি দিয়ে মুক্তারের মাথায় আঘাত করন। বড় ভাইকে আঘাতের পর বাড়িতে গিয়ে ভাবিকেও বেধড়ক পেটান। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে রুহুল আমিন পালিয়ে যান। পরে মুক্তার হোসেনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। 

দিনাজপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বিরামপুর-সার্কেল) মিথুন সরকার বলেন, ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠনো হয়েছে।

এএম