মানিকগঞ্জে চারটি উপজেলা থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপর পর্যন্ত চারজন এবং রাতে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে দুইজন সদর উপজেলার, ঘিওর, সাটুরিয়া ও সিংগাইরে একজন করে রয়েছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপরে সরকারি সেবা ৯৯৯ লাইনে ফোন পেয়ে মানিকগঞ্জ শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকায় পৌর ভূমি অফিসের পেছনের একটি বহুতল ভবনের তিনতলা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় আবু হানিফ নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

আবু হানিফ কুমিল্লার চৌদ্দ গ্রামের আবুল বসরের ছেলে। তার পরিবার জানায়, বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আবু হানিফ বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়ায় মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছে। 

এদিকে সদর উপজেলার দিঘি ইউনিয়নের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থাকা একটি পরিত্যক্ত ঘরে অজ্ঞাত পরিচয়ে ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে মৃত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলেন। 

অপরদিকে, সিঙ্গাইর উপজেলার দেওলি গ্রামে রোজিনা আক্তার নামের এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহে বিষপানে রোজিনা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। 

এদিকে ঘিওর উপজেলার দেওভোগ গ্রামে ঝুলন্ত অবস্থায় সোনা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া এলাকায় এক কারখানায় কাজ করার সময় ছাদ থেকে ড্রাম পড়ে রাসেল মাহমুদ নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে আহত অবস্থায় রাসেলকে সদর হাসপাতালে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাসেল জামালপুর সদর উপজেলার রহুল্লী গ্রামের মৃতি ইদ্রিস আলীর ছেলে।

মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সোহেল হোসেন/এমএএস