বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৫ বছর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। সেদিন তিনি কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন- আমাকে যেভাবে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হলো একদিন দেশের মানুষ ঠিক এভাবে হাসিনাকেও দেশ থেকে উচ্ছেদ করে দেবে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ডিগ্রি কলেজ মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের ৩১ দফাতে পরিষ্কারভাবে বলা আছে আমরা রাষ্ট্র ব্যবস্থাটাকে এমন জায়গায় আনতে চাই যে পরবর্তীতে দ্বিতীয় কোনো হাসিনা আসতে না পারে। শেখ হাসিনাকে আর চাই না আমরা। কোনো ফ্যাসিস্ট চাই না। আমরা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই। সেজন্য আমরা নির্বাচন কমিশন ও বিচার ব্যবস্থাকে নিরপেক্ষ করতে বলেছি এবং আমরা জনকল্যাণমূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলেছি।

তিনি বলেন, হিন্দু ভাইয়েরা অতীতে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমরা তাদের নিশ্চয়তা দিতে চাই আমাদের সময় তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করব। মা-বোনদের নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করব। বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করব।

নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এর আগেও আমরা নির্বাচন করেছি, এবারো করব। এদিকে জামায়াতও নির্বাচন করবে। এরই মধ্যে জামায়াত নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছে। এখন আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাকে আপনারা সংসদে বসাতে চান এবং কাকে দিয়ে আপনাদের কাজগুলো হবে। আপনাদের ভোটে ২০০১ সালে সংসদে যেতে পেরেছিলাম। মন্ত্রী হয়ে আপনাদের এলাকায় কাজও করেছি। কৃষকদের জন্য ডিপ টিউবওয়েল বসানো হয়েছিল। আরও অনেক কাজ করেছি আপনাদের জন্য।

তিনি বলেন, পিআর নিয়ে একটি দল মিছিল মিটিং করছে। পিআর তো আমি নিজেই বুঝি না, তাহলে দেশের মানুষ কীভাবে বুঝবে? তাই বলি তর্কবিতর্ক  বাদ দিয়ে একটা সুন্দর নির্বাচন যাতে হয় আগামীতে, একটা সুন্দর নির্বাচন যাতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে হয়, সেদিকে মনোযোগ দেই। 

এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

রেদওয়ান মিলন/আরএআর