২ বছর ধরে চকরিয়া কমার্স কলেজে পাস করেনি কেউ
২০০৯ সালে কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় চকরিয়া কমার্স কলেজ। তবে টানা দুই বছর ধরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, এই কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ২ জন শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছেন। এর আগের বছরও প্রতিষ্ঠানটির ৮ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছিলেন। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এ বছর যেসব পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাসের হার শূন্য, তার মধ্যে চকরিয়া কমার্স কলেজ আবারও রয়েছে যেমনটি ছিল গত বছর।
বিজ্ঞাপন
২০২৪ সালের ফল প্রকাশের পর চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শূন্য, সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা না গেলেও, চকরিয়া কমার্স কলেজ ফের শূন্য পাসের হার নিয়ে ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার জেলায় সামগ্রিকভাবে এবার ফলাফলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। গত ১২ বছরে এইচএসসি পরীক্ষায় জেলার মধ্যে এবারই সবচেয়ে কম মাত্র ৪৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
জেলায় সবচেয়ে ভালো ফল করেছে রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এখানকার ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে, পাসের হার ৯৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অন্যদিকে জেলার সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার সরকারি কলেজে এ বছর পাসের হার ৮২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। জেলায় এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ২০৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৬৭ জন এবং মেয়ে ১৩৯ জন।
আরও পড়ুন
চলতি বছর জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১২ হাজার ৬৯৮ জন। ছেলের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ১৬২ জন এবং মেয়ের সংখ্যা ৭ হাজার ৫৩৬ জন। সব মিলিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৫ হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ১৮৭ জন এবং মেয়ে ৩ হাজার ৫৭৬ জন। পাসের হারে পিছিয়ে রয়েছে ছেলেরা। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ছেলেদের মধ্যে ৪২ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং মেয়েদের মধ্যে ৪৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ পাস করেছে।
ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফলাফলে বিপর্যয়ের বিষয়টি আমরা শিক্ষক, অভিভাবক ও সুধীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে পর্যালোচনা করবো। কীভাবে আগামী বছর ফলাফলের উন্নতি ঘটানো যায়, সে লক্ষ্যে আমরা উদ্যোগ নেবো।
ইফতিয়াজ নুর নিশান/এআরবি