লাঠি না ভাঙা পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে মারলেন শিক্ষক
ঝালকাঠির রাজাপুরে জুনায়েদ নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মারধরে আবু বকর (১২) নামে এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার গালুয়া দারুল কুরআন নূরানী কওমি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী বর্তমানে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
জানা গেছে, আবু বকর রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া মিঞা বাড়ি এলাকার মহসিনের ছেলে। সে গালুয়া দারুল কুরআন নূরানী কওমি মাদ্রাসার হাফেজি বিভাগে অধ্যয়নরত।
বিজ্ঞাপন
আহত শিক্ষার্থী আবু বকর বলেন, “হুজুর আমাকে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দিত না। বলত, বেশি কথা বললে মায়া বাড়ে। একদিন আমি লুকিয়ে তানভীর নামে একজনের ফোন থেকে বাবার সঙ্গে কথা বললে হুজুর রেগে গিয়ে গাব গাছের লাঠি দিয়ে সারা শরীরে মারধর করে। তিনি আমাকে লাঠি না ভাঙা পর্যন্ত মেরেছেন।”
অভিযুক্ত শিক্ষক জুনায়েদ রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “ছেলেটি কথা শুনত না, তাই রাগের মাথায় হয়ত একটু বেশি মেরে ফেলেছি।”
বিজ্ঞাপন
আবু বকরের বাবা মহসিন বলেন, “আমি ফোনে অনুরোধ করেছিলাম যেন ছেলেকে না মারে। তারপরও আমার ছেলেকে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”
মাদ্রাসার পরিচালক মো. মজিবুর রহমান বলেন, “ছেলেটিকে যতটা শাসন করা দরকার ছিল, তার চেয়ে বেশি মারা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কমিটির সঙ্গে আলোচনা করছি। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হবে।”
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে যায়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. শাহীন আলম/এমটিআই