পটুয়াখালীর গলাচিপায় একই দিনে তিনজন সাপের কামড়ে আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মো. আবুল বশার হাওলাদার (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আবুল বশার উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ছোট চরকাজল গ্রামের মো. জয়নাল হাওলাদারের ছেলে। 

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে তিনি বিষধর সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে পরবর্তীতে মারা যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে মাঠে ঘাস কাটার সময় বিষধর সাপে কামড় দিলে গুরুত্ব না দিয়ে আবুল বশার নিজের কাজ চালিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। পরে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় এক কবিরাজকে ডেকে এনে ঝাড়ফুঁক করার পর আবুল বশার জ্ঞান হারান। অবস্থার অবনতি দেখে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. নাইমুর রহমান তাকে  মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে একইদিনে আরও ২ নারী সাপের কামড়ের শিকার হন। গলাচিপা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল আমিনের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫০) এবং উপজেলার উলানিয়া গ্রামের বাসিন্দা লাইলী বেগম সাপের কামড়ের শিকার হন। এদের দুজনের মধ্যে লাইলী বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাজেরা বেগম এখন গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নোমান পারভেজ বলেন, সাপের কামড়ের দ্রুত রোগীকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা উচিৎ। সময়মতো হাসপাতালে আসলে এন্টিভেনম প্রয়োগের মাধ্যমে জীবন রক্ষা সম্ভব। কিন্তু অনেকেই কবিরাজের কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করেন, যা প্রাণঘাতী হতে পারে।

গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আজ উপজেলায় সাপের কামড়ে তিনজনের মধ্যে বশার হাওলাদার হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান। অন্য আরও দুজন নারী চিকিৎসাধীন আছেন।

সোহাইব মাকসুদ নুরনবী/এমএন