ঢাকা উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর নামে তার গ্রামের বাড়ির সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। মাহেরীন চৌধুরীর স্মৃতিতে চিরস্মরণীয় করে রাখতে এ নামকরণ করা হয়।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে নীলফামারীর জলঢাকার বগুলাগাড়ী ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়ায় তার গ্রামের বাড়ির সড়কে এ নাম ফলক দেখা যায়। 

স্থানীয় ও পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী। পরে তাকে নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। এতে এলাকাবাসী তাকে স্মরণীয় করে রাখতে তার বাড়ির সামনের সড়কটি তার নামে নামকরণ করার দাবি জানায়। পরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নিহত শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর বাড়ির সামনে থেকে আহাদ আলী চৌধুরীর বাড়ি পর্যন্ত ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার সড়কের নামকরণ করেছে ‘মাহেরীন চৌধুরী সড়ক’।  

স্থানীয়রা জানায়, এলাকার মধ্যে নিহত শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী আলো ছড়িয়েছেন। তিনি নিজ অর্থে অনেক শিশুকে পড়ালেখা করিয়েছেন। শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী এলাকার গর্ব। 

বগুলাগাড়ী এলাকার বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম বলেন, নিহত শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী আমাদের এলাকার গর্ব। তিনি শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। তিনি মানুষ হিসেবে অনেক ভালো ছিলেন। তাকে স্মরণীয় করে রাখতে তার নামে সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। এতে আমার খুশি। 

আরেক বাসিন্দা তহমিনা বেগম বলেন, শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী সবসময় এলাকার খোঁজখবর নিতেন। তিনি আমাদের ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতেন। আমরা কখনো ভাবিনি এভাবে মাহেরীন চৌধুরীকে হারিয়ে ফেলব। 

জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক জায়িদ ইমরুল মুজাক্কিন বলেন, শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সড়কের দুই প্রান্তে নামফলক বসা সম্পূর্ণ হয়েছে। আরেকটি ফলক তার কবরস্থানগামী সড়কে বসানো হবে। 

প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে নিহত হন শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী। দুর্ঘটনায় সময়ে তিনি ভেতরে আটকা পড়ে থাকা প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে বের করে এনে জীবন রক্ষা করেন। এ সময়ে তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

আরকে