এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলা মামলায় ৩৬ আসামির জামিন
ফাইল ফটো
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩৬ আসামির সবাই আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাসিম মাহমুদ প্রত্যেক আসামিকে একশ টাকার মুচলেকায় অভিযোগপত্র গঠন না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছে।
বিজ্ঞাপন
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোতোয়ালি থানায় এই মামলা নম্বর ৭২। বাদী হা-মীম গ্রুপের গাড়িচালক ও ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের তুলাগ্রামের বাসিন্দা মো. জুয়েল শেখ (২৮)। মামলায় নাম উল্লেখ করে ৩৬ জনকে আসামি করা হয়, পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। আসামিরা সবাই ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের অনুসারী। এরা সবাই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ কে আজাদ কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে গণসংযোগে গেলে একদল লোক তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে গাড়ির সামনের গ্লাসসহ বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আনুমানিক এক লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে মামলায় উল্লেখ আছে।
বিজ্ঞাপন
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, প্রধান আসামি লুৎফর সরদারের নেতৃত্বে ইসলাম মোল্লা, মুকুল শেখ, নান্নু শেখসহ অন্যান্য আসামিরা বাজারে উপস্থিত হয়ে এ কে আজাদ ও তার সফরসঙ্গীদের ওপর হামলা চালান। হামলার সময় তারা রাস্তার পাশের দোকান থেকে কাঠ ও আখের গাছ নিয়ে গাড়িতে আঘাত করেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় এ কে আজাদ ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে প্রাণে রক্ষা পান।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, হামলার ঘটনায় এ কে আজাদ ও তার সঙ্গীরা মানসিকভাবে ভীষণ ভীত হন এবং এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ২২ অক্টোবর গাড়িচালক জুয়েল শেখ ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দিলে ২৪ অক্টোবর মামলাটি নথিভুক্ত হয় এবং পরদিন আদালতে পাঠানো হয়।
নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে কৃষ্ণনগর ও কানাইপুর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও জেলা জাসাসের কয়েকজন নেতাকর্মী রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট জসীমউদ্দিন মৃধা বলেন, আজ দুপুরে আদালত প্রত্যেক আসামিকে অভিযোগপত্র গঠন না হওয়া পর্যন্ত একশ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, মামলাটি গত ২৪ অক্টোবর রেকর্ড করে ২৫ অক্টোবর আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে। যথাসময়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
জহির হোসেন/আরকে