হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা শহরের বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি উঠেছে বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি ও ছাত্রাবাসেও। অধিকাংশ রাস্তায় গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি জমেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী।

জানা যায়, শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার থেকে সারারাত বৃষ্টি হয়। এতে পৌরসভার আরামবাগ, শান্তিরমোড়, বাতেনখাঁর মোড়, পুরাতন বাজার, নিউমার্কেট, উদয়ন মোড়সহ পৌর এলাকার অনেকস্থানে ঘরবাড়ি, প্রতিষ্ঠান, ছাত্রাবাস ও রাস্তায় পানি জমে যায়। জলাবদ্ধতায় অনেক সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঘরের সামনে পানি জমায় অনেকে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। কারও কারও রান্নাঘর-টিউবওয়েলের কিছু অংশ ডুবে গেছে পানির নিচে। এছাড়া ছাত্রাবাসে পানি ঢুকে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পর্যাপ্ত নালা ব্যবস্থাপনা না থাকা, বিদ্যমান নালার অচলাবস্থা এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পৌরসভার অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। অপরদিকে মেশিনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনের কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

আরামবাগ এলাকার সাফিউল ইসলাম বলেন, আগে অনেক বৃষ্টি হলেও বাসাবাড়িতে কখনো পানি ওঠেনি। এবার বৃষ্টিতে বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। ফলে ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে বিপাকে পড়েছি। পৌরসভার ড্রেনের কাজ চলমান থাকায় এই সমস্যা হয়েছে। তাই দ্রুত ড্রেনের কাজ শেষ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

শান্তিরমোড় এলাকার পলাশ বলেন, হঠাৎ বৃষ্টির কারণে বাড়িতে পানি উঠে গেছে। ৯৮ এর বন্যার সময় এমনভাবে বসতবাড়িতে পানি উঠেছিল। ঘরের ভেতর পানি জমে যাওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছি।

নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শিমুল আলী বলেন, মেসে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় বই খাতা সব ডুবে গেছে। ঘর থেকে পানি নিষ্কাশন করতে পেরেশানিতে পড়তে হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তোফিকুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় কয়েকটি স্থানে ড্রেনের কাজ চলমান আছে। এজন্য হঠাৎ বৃষ্টিতে কিছুটা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। শহরে জমে থাকা পানি মেশিনের মাধ্যমে নিষ্কাশন করা হচ্ছে। এছাড়া আশা করি ড্রেনের কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।

আশিক আলী/আরকে