খুলনার রূপসা ঘাটে পল্টুনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নদীতে পড়ে দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।

রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে পূর্ব রূপসা ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রূপসার তালিমপুরের মৃত মাহাবুবুর রহমানের ছেলে খুলনার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মকর্তা শেখ মহিদুল হক লিটু দাপ্তরিক কাজ শেষে রূপসার তিন বটতলা এলাকায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন। তিনি পশ্চিম রূপসা থেকে ট্রলারে উঠে নদী পারাপারের সময় পূর্ব রূপসায় ঘাটে ভেড়ার সময় পল্টুনের সঙ্গে ট্রলারটির জোরে ধাক্কা লাগে। এ সময় শেখ মহিদুল হক লিটু নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে বলেন, ধাক্কা লেগে আরও এক নারীও নিখোঁজ হয়েছেন। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে তার নামপরিচয় জানা যায়নি। তাদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত ঘাট মাঝিরা অতিরিক্ত অর্থের লোভে বাড়তি যাত্রী নিয়ে থাকে। এ নিয়ে কথা বললেও তারা কর্ণপাত করেন না। ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ভর্তি করে নেয়। যার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘাটে যে পরিমাণ যাত্রী চলাচল করে তাতে দুটি ফেরির প্রয়োজন। সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়টি খেয়াল রাখা দরকার, না হলে এভাবে দুর্ঘটনা ঘটবে।

রূপসা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবুল খায়ের বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে আমরা রূপসা ব্রিজ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু নদীতে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযানে নৌ-পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় ডুবুরি এবং কোস্টগার্ড সহায়তা করছে। রাত সোয়া ১১টায় ঘটনাটি ঘটলে আমাদের ১২টার কিছুক্ষণ আগে জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, রাত হলে অধিক টাকা লাভের আশায় ট্রলার মাঝিরা নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী তোলেন। যে কারণে এ ধরনের বিপজ্জনক ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার পর থেকে ট্রলার মাঝি পলাতক রয়েছেন।

মোহাম্মদ মিলন/এমজে