নির্বাচন অফিসে বিএনপির হামলা-ভাঙচুর, কর্মকর্তাসহ আহত ৩
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কাজ না করার অভিযোগ তুলে নির্বাচন অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে মারধর করা হয়। ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের কাজ না করার অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগপন্থী বলে আখ্যা দিয়ে অফিসে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এসময় নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। তাদের হামলায় তিনজন আহত হন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ভুক্তভোগীদের নিয়ে তার অফিসে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন। আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই তিনি চেয়ার ছেড়ে অন্যত্র চলে যান এবং অফিসে উপস্থিতদের ভিডিও করতে নির্দেশ দেন। তখন আমরা বলি, এখানে ভিডিও করার কোনো প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গেলে সাধারণ জনগণ নানা হয়রানির শিকার হয়। সে বিষয়েই আমরা কথা বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কথা না শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি অফিস ভাঙচুর ও সরকারি কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সরকারি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। যদি নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে, তবে তা লিখিতভাবে দেওয়া উচিত ছিল। নির্বাচন কর্মকর্তা অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরিফুল ইসলাম/এআরবি