অভিযুক্তের বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার, আদালতে ব্যাখ্যা দিলেন আরএমপি কমিশনার
বিচারকের ছেলের হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত লিমন মিয়ার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ঘটনায় আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন আদালত-৫ এ হাজির হন কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
একই সঙ্গে আদালতের বিবিধ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। তবে আদালত এ বিষয়ে আগামী পহেলা ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য্য করেছে। এর আগে ১৫ নভেম্বর পুলিশ কমিশনারকে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আলী আশরাফ মাসুম বলেন, রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুর রহমানের ছেলের হত্যাকাণ্ড ও স্ত্রীকে আহত করার ঘটনায় গ্রেপ্তার লিমন মিয়ার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করায় আরএমপি কমিশনারকে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
সে নির্দেশনা মোতাবেক ধার্য্য দিনে রাজশাহী মেট্রোপলিটন আদালত-৫ এ হাজির হন মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। ১৫ মিনিট ধরে শুনানি হয়। পুলিশ কমিশনারের আইনজীবী আদালতকে অবহিত করেন, এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এসময় আদালতে চলমান বিবিধ মামলা থেকে পুলিশ কমিশনারকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করেন। পরে মেট্রোপলিটন আদালত-৫ এর বিচারক আশিকুর রহমান শুনানি শেষে আগামী পহেলা ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য্য করেছে।
এর আগে সাধারণ একটি প্রাইভেটকারে চড়ে পুলিশ কমিশনার এসেছিলেন সাদা পোশাকে। আদালতের কঠগড়ায় ছিলেন প্রায় ১৫ মিনিট। এ সময় তার আইনজীবী জমসেদ আলী আদালতকে লিখিতভাবে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন। এছাড়া পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে করা বিবিধ মামলা থেকে তাকে অব্যহতি দেওয়ার আবেদন জানান।
প্রসঙ্গত, গেল ১৩ নভেম্বর রাজশাহী নগরীর ডাবতলায় এলাকায় বিচারকের ভাড়া ফ্লাটে অভিযুক্ত লিমন মিয়া কৌশলে প্রবেশ করে তার ছেলে তাওসিফ রহমানকে ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত ও শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং তার স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে পুলিশ আটক করে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযুক্ত লিমন মিয়া পুলিশি হেফাজতে থাকাবস্থায় মিডিয়ায় ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করে বক্তব্য প্রদান করে। যা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বনাম রাষ্ট্র ৩৯ বিএলডি ৪৭০ সহ বিভিন্ন মামলায় প্রদত্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
শাহিনুল আশিক/আরকে