যশোরের শার্শা ও বেনাপোল বন্দর এলাকায় ৭ দিনের জন্য আবারো কঠোর বিধি-নিষেধ বাড়ানো হয়েছে। তবে জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, আমদানি-রফতানি বাণিজ্য, পণ্য পরিবহন ও বাণিজ্যের সঙ্গে সংশিষ্ট দোকানপাট এর আওতামুক্ত থাকবে। 

৩০ জুন পর্যন্ত কঠোর এ বিধি-নিষেধ কার্যকর থাকবে বলে বুধবার (২৩ জুন) এক চিঠিতে জানিয়েছেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।

এদিকে, বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য সচল থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বন্দর এলাকায় চরমভাবে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। শহর এলাকায় লকডাউন পালন হলেও বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় শ্রমিক থেকে শুরু করে ভারতীয় ট্রাকচালক কেউ যথাযথ মানছেন না এ স্বাস্থ্যবিধি। 

বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান জানান, ঘরে ঘরে করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। গত এক সপ্তাহে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৬ জন মারা গেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা জানান, বন্দর ও সীমান্ত এলাকায় শতভাগ বিধি-নিষেধ নিশ্চিতে কাজ করছে প্রশাসন। করোনা সংক্রমণরোধে ব্যস্ততম বাইপাস সড়ক বন্ধ ও করোনা আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হচ্ছে। এছাড়া অনিয়মকারীদের জরিমানা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার জাহিদ হোসেন জানান, বুধবার সীমান্তবর্তী শার্শা উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৯ জন। সংক্রমণের হার ৭৫ শতাংশ। উপজেলায় বর্তমানে ১৯৮ জন করোনা রোগী নিজ বাড়িতে ও ৬ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন। মানুষ সচেতন না হওয়ায় দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান তিনি। 

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিয়ে প্রতিদিন স্বল্পপরিসরে কিছু কিছু বাংলাদেশি ভারতে যাচ্ছেন। ভারত থেকেও বাংলাদেশ দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে বাংলাদেশিরা ফিরছেন। 

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন খান জানান, দেশে শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ও সরবরাহ সচল রাখতে চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে বন্দরের কার্যক্রম অন্য সময়ের মতো সচল রয়েছে। তবে সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাণিজ্য পরিচালনা করে এজন্য বন্দরের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এমএএস