চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে আবারও মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বিজিবি। এবার সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো বাংলাদেশি নাগরিক তারা বানু (৭৫) নামের এক নারীর মরদেহ তার মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। 

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিজিবি প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

বিজিবির সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জামিনপুর এলাকার মৃত শামসুল হকের স্ত্রী তারা বানু বার্ধক্যজনিত কারণে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মারা যান। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ভারতের মালদা জেলার কালিয়া থানার দুশতদীঘী এলাকার মোছা. মালেকা বেগম (৪০) তার মা তারা বানুর লাশ দেখতে বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবির কাছে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) ভারতীয় নাগরিকদের মরদেহ দেখানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিবগঞ্জ সীমান্তের কিরণগঞ্জ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৭৯/৩-এস এর নিকট শূন্য লাইনে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। 

৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে তার মেয়েসহ ভারতীয় স্বজনরা মরদেহ দেখতে বিএসএফ এর মাধ্যমে বিজিবির কাছে আবেদন করেন। পরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে মরদেহ স্বজনদের দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২২ বছর আগে এক ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে মোছা. মালেকা বেগমের বিয়ে হয় এবং স্বামী সন্তান নিয়ে তিনি ভারতেই বসবাস করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ৫ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার কিরণগঞ্জ সীমান্তে ভারতে মারা যাওয়া বোনের লাশ তার ভাই ও আত্নীয় স্বজনকে দেখানো হয়।

আশিক আলী/আরকে