সুনামগঞ্জে মাইকিং করবেন না মেয়র প্রার্থীরা
ফাইল ছবি
সুনামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এবার মেয়র প্রার্থীরাও মাইকে প্রচারণা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা নাগরিকদের মাইকিংয়ের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা দিতে মাইকে প্রচারণা বন্ধ করে দেন।
সুনামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৩ জন মেয়র প্রার্থী, ৪৮ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১৩ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরসহ মোট ৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত মাইকের শব্দে কান ঝালাপালা পৌরবাসীর। সম্প্রতি নাগরিকদের মাইকিংয়ের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মাইকিং বন্ধ করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
বিজ্ঞাপন
এবার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নাদের বখত এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুর্শেদ আলম প্রচারণার কাজে মাইক ব্যবহার বন্ধ করেছেন। মেয়র প্রার্থীদের মাইকিং বন্ধ করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ পৌরবাসী।
মেহেদী হাসান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীসহ অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী জনস্বার্থে মাইক ব্যবহার করছেন না। তাদের এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
বিজ্ঞাপন
অ্যাড. শামসুল আবেদীন বলেন, সুনামগঞ্জ পৌর নিবার্চনের দুই মেয়র প্রার্থী মাইকিং প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছেন। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। পৌরবাসী স্বস্তি পেয়েছে। মাইকিংয়ে বয়স্ক লোক ও শিশুদের বেশি সমস্যা হয়। নাগরিকদের শব্দ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে দুই মেয়র প্রার্থী অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মেয়র প্রার্থী ও যে সকল কাউন্সিল প্রার্থী মাইকিং বন্ধ রেখেছেন তাদের অভিনন্দন জানাই।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নাদের বখত ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার কারণে এমনিতেই মানুষ বিপর্যস্ত। বিশেষ করে বয়ষ্করা করোনার কারণে গৃহবন্দি থাকায় মানসিক অবসাদে আছেন। প্রচারণার জন্য আমাকে তিনটি মাইক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আমি নাগরিকদের শব্দদূষণ থেকে রক্ষা করতে মাইকিং প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছি।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুর্শেদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, শব্দ দূষণে যাতে পৌরবাসীর সমস্যা না হয় সেজন্য আমি আমার মাইকিং প্রচারণা বন্ধ রেখেছি। লিফলেট বিতরণ এবং ক্যাম্পইন চলবে। কারণ আমি মানুষকে কষ্ট দিতে চাই না। মানুষের মনের ভেতরে থাকতে চাই। আশা করি নির্বাচনে ফলাফল ভাল হবে এবং ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় হবে।
এসপি