ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে চারদিক

গত দুই-তিন দিনের কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় আবারও স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢেকে থাকায় দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কাজে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র কষ্টে ভুগছেন হতদরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১১ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার থেকে জেলায় শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। 

ঘন কুয়াশার মধ্যে সাইকেলে চড়ে প্রাইভেটে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

এদিকে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আন্তঃবিভাগের পাশাপাশি বহির্বিভাগে ৮০০- ৯০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিকশাচালক কালাম বলেন,  আবারও দুই তিন দিন ধরে খুব কুয়াশা পড়েছে। মানুষ তো ঘর থেকে বের হতে পারছে না, মানুষ বের না হলে তো আমার পেট চলবে না। যতই ঠান্ডা হোক না কেন আমার বের হতেই হবে, সংসার তো চালাতে হবে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মুইন উদ্দিন ভোলা বলেন, আমার ওয়ার্ডে ৮০০ পরিবারের বসবাস। এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০টি কম্বল পেয়েছি। মানুষজন প্রতিদিন কম্বল চাইতে আসে। সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে দরিদ্র পরিবারের মানুষ ঠান্ডা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে। 

শীতের সকালে মাদরাসায় যাচ্ছে শিশুরা

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ইউনিয়নে ৯-১০ হাজার পরিবারের বসবাস। সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ৪০০ কম্বল পেয়েছি এবং তা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুড়িগ্রামে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার থেকে জেলায় শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। 

আরএআর