আক্তারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নারগিস সুলতানা

আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে দেখা দিয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। মেয়র পদে সাবেক মেয়র আক্তারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নারগিস সুলতানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। 

১০ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আমিনুল ইসলাম কাজী লালু মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে একজন মেয়র, ৯ জন কাউন্সিলর ও তিনটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে এখন আনুষ্ঠনিকভাবে লড়ছেন মেয়র পদে পাঁচজন, কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ২১,২৮০জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০,২৮৪ ও নারী ভোটার ১০,৯৯৬ জন। মেয়র পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন পাঁচজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুজ্জামান বুলবুল, বিএনপির প্রার্থী শরীফুজ্জামান তুহিন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু, আক্তারুল ইসলাম ও নার্গিস সুলতানা। 

কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে সাবেক মেয়র ও তার স্ত্রীর প্রার্থী হওয়ার পর সর্বত্র চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। সবার আগ্রহ ছিল শেষ পর্যন্ত কে থাকছেন নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত। তবে কেউই মনোয়ন প্রত্যাহার না করায় উভয়ই থাকছেন নির্বাচনে। 

কলারোয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা আগেই জানিয়েছিলেন, স্বামীর নামে মামলা থাকায় স্বামীর প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। এজন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। তবে উভয়ের প্রার্থিতা বৈধ হয়েছে। আমার নির্বাচন করার ইচ্ছা নেই। তবুও শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো।

সাবেক মেয়র আক্তারুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমি বিএনপি করায় বিভিন্ন সময় সরকারি দল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মামলা দিয়েছে। এবার আমার স্ত্রীও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, আমিনুল ইসলাম কাজী লালু নামে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। বাকি প্রার্থীদের মনোনয়ন বৈধ রয়েছে। সোমবার (১১ জানুয়ারি) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পারবেন প্রার্থীরা। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রার্থী সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা ও নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।

এসপি