পবিত্র ঈদুল আজহা শেষে ও কঠোর বিধিনিষেধ সামনে রেখে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের চাপ শুরু হয়েছে। কর্মমস্থলে ফিরতে পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে রীতিমতো মানুষের ঢল শুরু হয়েছে।

পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট থেকে ডাবল ডেকার লঞ্চ এমভি সত্তার খান-১, এমভি সম্রাট-৭, এমভি সুন্দরবন-৯, প্রিন্স অব কামাল-১, আওলাদ-৭, সুন্দরবন-৭, আসা যাওয়া-২ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে ডাবল ডেকার লঞ্চ এমভি সত্তার খান-১, এমভি সম্রাট-৭, এমভি সুন্দরবন-৯, প্রিন্স অব কামাল-১, আওলাদ-৭, সুন্দরবন-৭, আসা যাওয়া-২-এ যাত্রীর উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চগুলোয় যাত্রীদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে।

ইতোমধ্যে ডাবল ডেকার লঞ্চের কেবিন বুকিং হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে কোনো কেবিন ফাঁকা নেই। লঞ্চের ডেকে যাত্রী উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি লক্ষ করা যায়নি। মানা হয়নি কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। 

এদিকে লঞ্চঘাটে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন কছেন। এ ছাড়া ঘাট এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পোশাকে ও সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।

কয়েকজন যাত্রী জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসার সময় তাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। এ জন্য ঝামেলা এড়াতে ঈদের এক দিন পর কর্মস্থলে রওনা হয়েছে।

পটুয়াখালী নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, ঘাটে বর্তমানে সাতটি ডাবল ডেকার লঞ্চ রয়েছে। লঞ্চে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়, তার জন্য জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ও বন্দর কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছি। তিনি আরও বলেন, লঞ্চে যাত্রীদের উপস্থিতি কিছুটা বৃদ্ধি। তবে কোনো সমস্যা নেই।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এনএ