খুলনার চার হাসপাতালে আরও ১১ জনের মৃত্যু
খুলনার চার হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রোববার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা হাসপাতালে পাঁচজন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে দুজন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে একজন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- নগরীর বাবুখান রোডের আ. বারেক (৭২), খালিশপুরের খাদিজা (৫০), ডুমুরিয়ার নাসিমা (৪৫), বটিয়াঘাটার রোকসানা (৩৫) ও বাগেরহাটের ফকিরহাটের মারুফা বেগম।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১০ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ৩৯ জন, ইয়ালো জোনে ৩৮ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন আটজন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আটজন।
বিজ্ঞাপন
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- খুলনা মহানগরীর ১০ সুলতান আহমেদ রোডের রায়হান চৌধুরী (৪০) ও গোয়ালখালী ১৪১ মেইন রোডের সুফিয়া বেগম (৫৮)। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪১ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন পাঁচজন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চারজন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে বাগেরহাটের শরণখোলার মো. ইব্রাহিম (৩৫) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাতজন।
সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৬৮ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১০ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন। আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন সাতজন।
গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- নগরীর আমতলা মোড়ের নুরুন্নাহার (৪৪), জোড়াকল বাজারের রামকৃষ্ণ সাহা (৭৫) ও নড়াইলের দুর্গাপুরের অসীম ভট্ট (৪৭)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাতজন।
মোহাম্মদ মিলন/এসপি