ভোট চাওয়ায় বাসায় ডেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেলোয়ার হোসেন ও ডানে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নাসরিন নাহার
বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এক কর্মীকে বাসায় ডেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
আহত ওই কর্মীর নাম মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৫)। তিনি বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নিপা আক্তারের কর্মী। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেলোয়ারকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম নাসরিন নাহার সুমি। একই ওয়ার্ডে তিনি অটোরিকশা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বরগুনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন নাসরিন নাহার সুমির বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত দেলোয়ার হোসেন বলেন, বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নিপা আক্তারের টেলিফোন প্রতীকে ভোট চাইতে শহীদ মিনার এলাকার ভোটারদের বাসায় বাসায় যাই।
বিজ্ঞাপন
এ সময় নিপা আক্তারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাসরিন নাহার সুমি আমাকে তার বাসা থেকে দেখেন। তখন তিনি আমাকে ডেকে বাসায় নেন। আমি কার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছি বিষয়টি জানতে চান তিনি।
নিপা আক্তারের টেলিফোন প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছি- বলতেই তিনি আমাকে গালিগালাজ শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় কোপ বসিয়ে দেন। সেই সঙ্গে তার বাসার আশপাশে টেলিফোন প্রতীকের প্রচারণা চালাতে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করে দেন। তার এলাকায় ভোট চাইতে গেলে অবস্থা খারাপ হবে বলেও আমাকে হুমকি দেন তিনি।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মেহেদী হাসান বলেন, আহত দেলোয়ার হোসেনের মাথায় আঘাতের ফলে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। আঘাত গুরুতর নয়। তার মাথায় কি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। এরপরও ঝুঁকি এড়াতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নাসরিন নাহার সুমি বলেন, আমার বিরুদ্ধে তোলা এই অভিযোগ মিথ্যা। আমার জনপ্রিয়তা কমাতে নিজেরা এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শুরু থেকেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিচ্ছেন।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নিপা আক্তার বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাসরিন নাহার সুমি আমি ও আমরা কর্মীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিলেন। এবার প্রচারণার সময় আমার এক কর্মীকে বাসায় ডেকে নিয়ে মাথা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছেন। এ ঘটনায় আমি মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএম