চিকিৎসক বলছেন গুরুতর, ওসি বললেন নরমাল
মহম্মদপুর উপজেলায় কৃষি জমিতে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় কৃষি জমিতে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা গুরুতর জখম হয়েছেন চিকিৎসক জানালেও মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলছেন নরমাল মারপিট।
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা তবিবার মোল্যা বর্গা জমিতে সেচ দিতে যান। পাইপ লাইন অন্যের জমির ওপর দিয়ে দেওয়ার সময় তার সঙ্গে একই গ্রামের ওমর বিশ্বাস ও তার লোকজনের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। গুরুতর আহত ওমর বিশ্বাসকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি আহত রোজা, শাহাজান, রমজান, ওবায়দুল্লাহ, রাশিদা বেগম, ডুবিরন বেগম, রফিক, হনুকা, ভুলু বিশ্বাস, ইউনুস, আকাশ, তবিবার মোল্যা, মুক্তার ও জরিনাকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আহত তবিবার মোল্যা বলেন, আমি বর্গা জমি চাষ করি। তিন ছেলে নিয়ে জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য শুক্রবার দুপুরে মাঠে যাই। আমার জমি না থাকায় অন্যের জমির ওপর পাইপ টেনে নিই। এতে ওমর বিশ্বাস ও তার লোকজন এসে মারপিট শুরু করেন। খবর দিলে আমাদের লোকজন আসে। পরে সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে আহত হন।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা চিকিৎসক কাজী আবু আহসান বলেন, আহত অধিকাংশ ব্যক্তির জখম গুরুতর। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন তারা। এক নারীর হাত ভেঙে গেছে। তারা সবাই চিকিৎসাধীন। সুস্থ হতে সময় লাগবে তাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস বলেন, তারা নিজেরা একটু মারামারি করেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এটি নরমাল মারপিট। কেউ জখম হয়নি।
এএম