টাঙ্গাই‌লে ক্রমাগতভা‌বেই যমুনা, ধ‌লেশ্বরী, ঝিনাই নদীর পা‌নি বৃ‌দ্ধি পা‌চ্ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পা‌নি ৯ সে‌ন্টি‌মিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫১ সে‌ন্টি‌মিটার ওপর দি‌য়ে প্রবা‌হিত হ‌চ্ছে। ফ‌লে এই বন্যায় জেলার হাজার হাজার প‌রিবার পা‌নিব‌ন্দি হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে।

বুধবার (০১ সে‌প্টেম্বর) ভূঞাপুরের গো‌বিন্দাসী ইউ‌নিয়‌নের কষ্টাপাড়া, ঘোষপাড়া এলাকায় দেখা গে‌ছে, যমুনা নদীর পা‌নি এলাকায় প্রবেশ করায় সেখানকার শতা‌ধিক প‌রিবার সপ্তাহব্যাপী পা‌নিব‌ন্দি হ‌য়ে চরম দুর্ভো‌গে প‌ড়ে‌ছে।

এ‌তে পা‌নিবা‌হিত রোগসহ বি‌ভিন্ন সমস্যায় প‌ড়ে‌ছেন তারা। ত‌বে সপ্তাহব্যাপী পা‌নিব‌ন্দি হ‌য়ে মান‌বেতর জীবনযাপন কর‌লেও এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণসহায়তা পায়‌নি সেখানকার বস‌তিরা।

জেলা পা‌নি উন্নয়ন বোর্ড (পাউ‌বো) সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে, ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বে‌ড়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৭ এবং ঝিনাই নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা গে‌ছে, নদ-নদীর পা‌নি বৃ‌দ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, কা‌লিহাতী, নাগনপুর, মির্জাপুর, বাসাই‌লের নিম্নাঞ্চ‌লে প্রবেশ ক‌রে‌ছে। এ‌তে কৃ‌ষি আবাদ নষ্ট হওয়ার পাশাপা‌শি ত‌লি‌য়ে গে‌ছে ফসলি জ‌মি। এ‌তে রোপা আম‌নসহ বি‌ভিন্ন ফসল নষ্ট হ‌য়েছে।

এছাড়া নিম্নাঞ্চ‌লে পা‌নি ওঠায় ত‌লি‌য়ে গে‌ছে ঘরবা‌ড়িসহ রাস্তা ঘাট। এ‌তে জেলার হাজার হাজার প‌রিবার পা‌নিব‌ন্দি হ‌য়ে মান‌বেতর জীবনযাপন কর‌ছে। অ‌নেক উপ‌জেলায় পা‌নির তীব্র স্রো‌তে ভে‌ঙে গে‌ছে সড়ক ও কালভার্ট। 

কষ্টাপাড়ার শ‌হিদুল ইসলাম ব‌লেন, এক সপ্তাহ ধ‌রে পা‌নিব‌ন্দি। ক‌বে পা‌নি কম‌বে আর আমা‌দের দুর্ভোগ শেষ হ‌বে জানা নেই। এরম‌ধ্যেও ভাঙন-আতঙ্ক র‌য়ে‌ছে। রাস্তা ঘাট পা‌নি‌তে ত‌লি‌য়ে যাওয়ায় খুবই ক‌ষ্টে দিনরাত পার কর‌ছি।

স্থানীয়রা ব‌লেন, পা‌নিব‌ন্দি হ‌য়ে মান‌বেতর জীবনযাপন কর‌লেও কোনো ত্রাণসহায়তা পা‌চ্ছি না সরকারি বা বেসরকা‌রিভা‌বে। এ‌দি‌কে পা‌নি‌তে টিউবও‌য়েল ত‌লিয়ে যাওয়ায় খাওয়ার পা‌নির সংকট দেখা দি‌য়ে‌ছে। 

জেলা পা‌নি উন্নয়ন বো‌র্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ব‌লেন, যমুনাসহ অন্য নদী‌তে ভাঙন দেখা দি‌য়ে‌ছে। ত‌বে ধারণা করা হ‌চ্ছে প্রায় ৮০ কি‌লো‌মিটার অং‌শে নদী‌তে ভাঙন শুরু হ‌য়ে‌ছে। বন্যা প‌রি‌স্থি‌তির উন্ন‌তি হ‌লে ভাঙন নিরুপ‌ণে কাজ শুরু করা হ‌বে। 

অভিজিৎ ঘোষ/এমএসআর