চাঁদপুর শহরে স্টেডিয়াম ও আউটার স্টেডিয়াম ছাড়া মানসম্মত কোনো খেলার মাঠ নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে মাঠগুলো রয়েছে তাও মানসম্মত নয়। খেলার মাঠ ভরাট করে তৈরি হচ্ছে বহুতল ভবন। এছাড়া দখল আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খেলার মাঠগুলো সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। 

চাঁদপুর শহরের হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠটি এক সময় খেলাধুলা ও শহরবাসীর হাঁটার জন্য খোলামেলা এবং পরিচ্ছন্ন ছিল। সকাল-বিকেল শহরবাসীর পদচারণায় মুখর থাকত। এখানে রয়েছে ছায়াবৃক্ষ ও শানবাঁধানো বসার স্থান। কিন্তু সন্ধ্যার পর ঘুটঘুটে অন্ধকারে হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠটি মাদকসেবীদের আড্ডায় পরিণত হয়। এ কারণে সেখানে আর আগের মতো লোকজন হাঁটতে আসেন না।

এদিকে হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের অর্ধেক জায়গাজুড়ে দখল করে রেখেছে হকার আর চটপটি ব্যবসায়ীরা। সেখানে স্থায়ীভাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন তারা। তাদের দখলের কারণে মাঠ সংকুচিত হয়ে গেছে। এখন আর আগের মতো খেলাধুলা করতে পারছে না আগত কিশোর-যুবকরা।

স্থানীয় জয় চৌধুরী বলেন, ছোট এ শহরে ভালো কোনো মাঠ নেই। যে যেভাবে পারছে শুধু দখল করছে। সামাজিক কাজে কেউই পাশে থাকে না। এভাবে মাঠ দখল হলে, আমাদের খেলার আর জায়গা থাকবে না। আমরা খেলার মাঠ দখলমুক্ত ও মাদকমুক্ত দেখতে চাই। বিদ্যালয় কমিটি ও পৌর কর্তৃপক্ষের জোড়ালো ভূমিকা প্রয়োজন। তা না হলে পুরো মাঠই এক সময় দখল হয়ে যাবে।

চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি বলেন, চাঁদপুর শহরের সকল ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। কোথাও কোনো দখল হতে দেওয়া হবে না। হাসান আলী মাঠে কোনো হকার ও চটপটির দোকান থাকবে না। দ্রুত সেগুলোকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, কিশোর গ্যাংসহ মাদকের ওপর আমাদের অভিযান সব সময় পরিচালনা হয়ে আসছে। আমি নিজেও বেশ কয়েকবার হাসান আলী মাঠে অভিযান করেছি। আমাদের মোবাইল টিম সেখানে নজর রেখেছে। 

শরীফুল ইসলাম/এমএএস