কনকনে শীতে কাজে যেতে না পারায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে ব্যাহত হচ্ছে ঝিনাইদহের সাধারণ কর্মজীবী মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় ঘন কুয়াশা। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে শীতের প্রকোপ। শেষ রাতে বাড়তে থাকে হিমেল বাতাস। ঘন কুয়াশার কারণে বিপাকে পড়ছে দিনমজুররা। 

অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সকালের দিকে পথঘাট ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

হলিধানী বাজারের মুদি দোকানি বাবুল বলেন, শীতের কারণে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। সকাল ১০টা বাজলেও সূর্যের দেখা নেই। এতে শীত আরও বাড়ছে।

স্কুলছাত্রী তন্নী বলেন, ঘন কুয়াশার মধ্যেও তাদের ভয় লাগে। তারপরও কোচিং করতে যেতে হয়।

নাটাবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক জিয়া বলেন, সকালে মাঠে কাজ করতে যেতে পারছি না। শীতের সঙ্গে সঙ্গে হালকা বাতাসে শরীরে কাপুনি আসছে। এজন্য অনেক বেলা পর্যন্ত বাড়িতেই বসে থাকতে হচ্ছে। তারপরও আজ সকালে ধানর চারা উঠাতে এসেছি।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, ছিন্নমূল, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের শীত নিবারণের জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গভীর রাত ও দিনের বিভিন্ন সময় কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। এটা ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে।

এসপি