হাড় কাঁপানো শীতে দুর্ভোগে চরাঞ্চলের মানুষ
তীব্র শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ
মাদারীপুরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়ায় অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। দিন দুয়েক ধরে এ অবস্থা বিরাজ করায় মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, বাস ও নৌ চলাচল দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়ছেন শ্রমজীবী মানুষ।
হঠাৎ করে এতো ঠান্ডা পরায় শ্রমজীবী মানুষসহ নারী, শিশু ও বয়স্করা রয়েছে বেকায়দায়। এতে দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানা রোগব্যাধি। হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের এই শৈত্যপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে ছিন্নমূল ও দিনমজুররা আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, কনকনে ঠান্ডায় মাদারীপুরের খোয়াজপুর, পেয়ারপুর, দত্তপাড়া, ধুরাইল, পাঁচখোলা, কালিকাপুরসহ নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চল এলাকার মানুষজন রয়েছেন চরম দুর্ভোগে। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি অনেক সংগঠন শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করছেন শীতবস্ত্র।
মাদারীপুর সদর উপজেলার ২ নম্বর শকুনি এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক মতিন মিয়া বলেন, গত দুদিন ধইরা অনেক ঠান্ডা আর বাতাস। এতো ঠান্ডার ভিতরত রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। কি আর করবো সংসার তো চালাইতে হবে। এতো শীতের ভেতর মানুষ ঘর থেকে কম বের হয় তাই আয় রোজগারও কম।
বিজ্ঞাপন
একই এলাকার দিনমজুর মো. মুহাইমিন বলেন, সকাল ভোর ৬টায় বের হয়ে কাজে গেছি। বিকেল বাড়ি ৪টায় আইছি। শীত বেশি হওয়ায় আর বের হই নাই। ঠান্ডায় কাজ করতে গিয়ে হাত পা অবশ হয়ে যায়।
সরেজমিনে মাদারীপুরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় অনেক মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিচ্ছেন। সন্ধ্যার পর পর মানুষজন তেমন লক্ষ্য করা যায় না শহর কিংবা গ্রামের হাটবাজারে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন বলেন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসানের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য ৪টি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমারা ইতোমধ্যে সবকয়টি উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। সামনে আরও কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। তীব্র ঠান্ডায় সকলকে সচেতন থাকতে হবে। বাসা থেকে বের হলে সবাইকে অবশ্যই গরম কাপড় পরিধান করে বের হতে হবে।
এসপি