রংপুরে গোডাউন থেকে ১১৫ বস্তা ওএমএসের চাল উদ্ধার
রংপুর নগরের একটি গোডাউন থেকে ওএমএসের ১১৫ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে এসব চাল লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরের স্টেশন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে তিন টন (১১৫ বস্তা) চাল উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ওই চাল ১০ টাকা কেজি দরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) করতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা না করে ওএমএসের ডিলার চাল ব্যবসায়ী সিরাজুল হক মুন্না গোপনে বিক্রির উদ্দেশ্যে তার গোডাউনে চালগুলো মজুত করে রাখেন। বিষয়টি জাতীয় গোয়েন্দার সংস্থার (এনএসআই) নজরে এলে তারা জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে শুক্রবার বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন স্টেশন এলাকায় মুন্নার গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী রংপুর জেলা প্রশাসকের দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাত কিন কুতুব জানান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই অভিযান পরিচালনা করেন। কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখা সরকারের দেওয়া ১০ টাকা কেজির চাল গোপনে মজুত করা হয়েছিল। অভিযানের খবর পেয়ে দোকান মালিক পালিয়ে গেছেন। এ কারণে তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় জড়িত ব্যবসায়ী সিরাজুল হক মুন্নার নাম পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ তদন্ত রিপোর্টে আরও কারা জড়িত তা নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেরকে আসামি করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর