খুলনার পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা
সম্মাননা স্মারক হাতে শ্রেষ্ঠ জয়িতারা
খুলনা বিভাগের পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা পাবলিক কলেজ মিলনায়তনে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ঢাকা শিশু একাডেমি থেকে ভার্চুয়ালে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা।
বিজ্ঞাপন
১০ জেলা থেকে নির্বাচিত ৫০ জয়িতার মধ্য বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে ঝিনাইদহের লাভলী ইয়াসমিন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে নড়াইলের ড. শেখ মুসলিমা মুন, সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে খুলনার রাবেয়া বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী ক্যাটাগরিতে নড়াইলের সানজিদা রহমান আদরী এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ক্যাটাগরিতে খুলনার অঞ্জনা বালা বিশ্বাস।
এ সময় নির্বাচিত পাঁচজন রানার-আপ জয়িতা এবং খুলনা বিভাগের জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত সব জয়িতাকে সম্মাননা স্মারক, চেক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের হাতে প্রধান অতিথির পক্ষে চেক, সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তারই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে চলেছেন। তিনিই ২০১০ সালে জয়িতা সম্মাননা চালু করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নারী-পুরুষ সমতাভিত্তিক সমাজ নিশ্চিতে পৃথিবীর ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০তম। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রায় ২০ হাজার নারী নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় ১০ লাখ নারী, মাতৃত্বকালীন ভাতার আওতায় সাত লাখ ৭০ হাজার নারী এবং ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২ লাখ ৭৫ হাজার নারী আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী খুলনা বিভাগে বিজয়ী জয়িতাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জয়িতারা জীবনের সবখানে বিজয়ী হবেন।
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে ও বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন। ভার্চুয়ালে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সৈয়দ রবিউল আলম, খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইকবাল হোসেন, খুলনা পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল আবদুল মোক্তাদের, জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপপরিচালক নার্গিস ফাতেমা জামিন প্রমুখ।
এমএসআর