আবদুল কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমার বাবা নীতি নৈতিকতা নিয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে মানবসেবার মহান ব্রত বুকে ধারণ করে শিক্ষকতার মতো মহান পেশা বেছে নিয়েছেন। তুমি (একরামুল করিম চৌধুরী) আমার বাবাকে অপমান করেছ। আমার বড় ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেব ক্ষমা করে দিতে পারেন, কিন্তু আমি কখনো ক্ষমা করব না। আমার বাবাকে কটাক্ষ করার বিষয়ে আপস করব না। 

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। 

বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে কাদের মির্জা বলেন, আমার কোনো পদ-পদবির প্রয়োজন নেই। কারো দরকার হলে আপনি (ওবায়দুল কাদের) তাদের সঙ্গে ব্যালেন্স করেন। আমার পরিবারের ওপর আঘাত করবে আর আমি আপস করব এমন রাজনীতি আবদুল কাদের মির্জা আগেও করে নাই, ভবিষ্যতেও করবে না।

কোম্পানীগঞ্জে কী চলছে প্রশ্ন রেখে কাদের মির্জা বলেন, এই সাড়ে ১২ বছরে কোম্পানীগঞ্জ ছিল শান্তির নীড়। আজকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করল কারা? এই একরাম-নিজামদের পৃষ্ঠপোষকতা কে দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ জানে। আমরা আর চুপ করে বসে থাকতে পারি না।

কাদের মির্জা আরও বলেন, আমাকে ৯ বার হত্যার চেষ্টা করেছে। আমার পৌরসভায় দুই হাজার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। আমার ১০ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমার নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে মুজাক্কির হত্যা মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হচ্ছে। আমাদের নেতারা অনেকে কারাগারে আছে।

স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, আমি গত সপ্তাহে দাবি আদায়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলাম, তাই কোম্পানীগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সাংবাদিক মুজাক্কির মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা চর ফকিরা ইউনিয়নে কোনো প্রোগ্রাম করতে পারিনি। আজ সেখানেও মিছিল হয়েছে। তার মানে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে।

কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়ে শিশুপার্ক নির্মাণের বিষয়ে কাদের মির্জা বলেন, সরকারি জায়গা ভূমিদস্যুরা ভূমি অফিসের সহযোগিতায় তাদের পক্ষে রেকর্ড করে নেয়। কিছু সৎ কর্মকর্তারা সেটা বাতিল করে দেয়। তারপর ভূমি দস্যুরা মামলা করে ও প্রশাসন এটেন্ড না করায় তারা রায় পায়। কিছু স্বার্থের জন্য আমার বিরুদ্ধাচারণ করছে, আমি এসব ভয় পাই না। সব প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নিজেকে উৎসর্গ করে দেবো।

হাসিব আল আমিন/ওএফ