৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংবাদ প্রকাশের জেরে পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আবেদনটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার (১৮ অক্টোবর) চট্টগ্রামের সাইবার ট্র্যাইবুনালের বিচারক তোফায়েল হাসান মামলার আবেদনটি খারিজ করে দেন।
ওইদিন মো. রেজাউল নামে পুলিশের 'কথিত সোর্স' মামলার আবেদন করেন। রেজাউল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের শেরপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নিজেকে সাংবাদিক ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময়কার রাজ-যোগালি রেজাউল 'পুলিশের সোর্স' ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ান। তার অপকর্ম নিয়ে সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় দৈনিক একুশে আলো ও দৈনিক ফ্রন্টিয়ার পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়কালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। একুশে আলো পত্রিকার সংবাদটি নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন ডেইলি ট্রাইব্যুনালের জেলা প্রতিনিধি ইফতেয়ার উদ্দিন রিফাত।
এর জেরে গত ১৮ অক্টোবর একুশে আলো পত্রিকার সম্পাদক সেলিম পারভেজ ও প্রতিবেদক আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, ফ্রন্টিয়ার পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল মালেক ও ডেইলি ট্রাইব্যুনালের জোলা প্রতিনিধি ইফতেয়ার উদ্দিন রিফাত এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়কালের প্রকাশক শরীফ মাহমুদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সাইবার ট্র্যাইবুনালে মামলার আবেদন করেন রেজাউল।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক তোফায়েল হাসান ওইদিনই আবেদনটি খারিজ করে দেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে দৈনিক একুশে আলো পত্রিকার প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিকুর রহমান মিঠু বলেন, রেজাউল কখনও পুলিশের সোর্স, কখনও সাংবাদিক পরিচয়ে পুরো শহর দাপিয়ে বেড়ান। তার অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করে। বিচারক মামলার আবেদনটি খারিজ করে দেন। পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে- কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন সংবাদ সরবরাহ করায় আমরা এখন রেজাউলের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আজিজুল সঞ্চয়/এমএএস