নিহত কলেজছাত্রীর মরদেহ (ইনসেটে ফাইল ছবি)

রংপুরে সোনালী রানী (২৩) নামে এক কলেজছাত্রী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে নগরের লালবাগ কেডিসি রোডের মিতা কুঞ্জ ছাত্রীনিবাস থেকে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

সোনালী রানী জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার বিলিগ্রামের সুভাষ চন্দ্রের মেয়ে। তিনি কারমাইকেল কলেজের ইংরেজি বিভাগের (২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী। 

সোনালীর বাবা সুভাষ চন্দ্রের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি  গতকাল রংপুরে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে দেখা করেছি। ওর করোনা পরবর্তী অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে প্রথমে আমেরিকান লিটারেচার ফিকশন অ্যান্ড ড্রামা এবং পরে ক্লাসিক ইন ট্রানসেলেশন বিষয়ে দুইটা পরীক্ষা হয়েছে। 

পরের পরীক্ষাটি নাকি ভালো হয়নি। এ টেনশনে মেয়ে খুব কান্নাকাটি করেছে। ভীষণ টেনশনে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি ওর মন ভালো রাখার জন্য অনেক বুঝিয়েছি। গতকাল রাত ৮টার দিকেও ফোনে কথা বলেছি। কিন্তু আজ সকালে শুনলাম সোনালী আর নেই। 

সোনালীর সঙ্গে কারো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না বলেও জানান তার বাবা। তার তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সবার ছোট সোনালী। পরিবার থেকে কোনো ব্যাপারে তার ওপর কখনও চাপ সৃষ্টি করা হতো না। 

সোমবার সকালে মেস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় হতাশা থেকে সোনালী আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।

পুলিশ ও মেস মালিক সূত্রে জানা যায়, রাতে মেয়েটি তার রুমে একা ছিল। সোমবার সকালে উঠে নাস্তা খেয়ে আবার রুমে চলে যায়। পরে ভাত দেওয়ার জন্য মেসের বুয়া ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে অন্যদের জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

এসপি