ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা কোনো ধর্মের মানুষ করতে পারে না। কেননা কোনো ধর্ম এমন হামলা ও ভাঙচুর সমর্থন করে না। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারাই এই হামলা চালিয়েছে।  যারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তারাই এই হামলা চালিয়েছে। এরা মানুষ নয়, এরা পশুর থেকেও অধম। 

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভা মিলনায়তনে আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে এই হামলা চালানো হয়েছে। যারা এই কাজ করেছে তাদের আটক করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে। এছাড়াও যাদের ওপর হামলা হয়েছে তাদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করার অনুরোধ করছি। 

তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা কোরআনে অসংখ্য জায়গায় হিন্দুদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। আমরা আজ যে যে অবস্থানে আছি তা কেবলমাত্র আল্লাহর সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে যদি মানুষ সাড়া না দিতো তাহলে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। রাসুল (সা.) যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন বঙ্গবন্ধু ঠিক সেভাবেই দেশ পরিচালনা করেছেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক সেভাবেই আলেমদের খবর রাখছেন। তিনি আমাদের অগোচরে বিভিন্ন মাদরাসার প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি মাদরাসার শিক্ষকদের বেতনের জন্য ৫০৭ কোটি টাকা দিয়েছেন। 

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. মামুনুর রশীদ কিরণ, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন শীল গোপাল, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ, চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র খালেদ সাইফুল্লাহ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অংকুর জিৎ সাহা নব প্রমুখ। 

এর আগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হামলার ঘটনায় নিহত যতন সাহা ও প্রান্ত দাসের পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা প্রদান করেন। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর