বেপরোয়া স্পিডবোট
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে স্পিডবোট
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ঝুঁকি নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে স্পিডবোট। এ সকল স্পিডবোটের নেই কোনো লাইসেন্স। চালকরাও প্রশিক্ষণ ছাড়াই পাড়ি দিচ্ছেন নদী। এতে দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এ সকল অবৈধ স্পিডবোট দিয়ে ডাকাত দল প্রায়ই যাত্রীদের সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে। আর স্পিডবোট দ্রুতগামী হওয়ায় খুব সহজেই তারা পালিয়ে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
স্পিডবোট চালক মিজান মোল্লা বলেন, স্পিডবোট চালাতে কোনো প্রশিক্ষণ লাগে না। আমাদের কোনো লাইসেন্সও নেই। আমরা শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রী পারাপার করে থাকি। অনেকে রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে স্পিডবোটে ঘুরেন। লাইফ জ্যাকেট প্রয়োজন হয় না, তাই রাখি না।
চাঁদপুর বড়স্টেশন থেকে শরীয়তপুর চেয়ারম্যান বাজার এলাকার যাত্রী এম এম সম্রাট। তিনি বলেন, একটু দ্রুত যাওয়ার জন্য স্পিডবোটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারি দিতে হয়। স্পিডবোটে যেখানে ৭/৯ জন নেওয়ার কথা সেখানে তারা ১৪-১৫ জন যাত্রী বহন করে। লাইফ জ্যাকেট না থাকায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণভাবে যেতে হচ্ছে। আমরা বৈধ স্পিডবোটে ঝুঁকিমুক্তভাবে নদী পার হতে চাই।
বিজ্ঞাপন
চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্পিডবোটে নদী পথে ডাকাতির ঘটনার তদন্ত চলছে। চাঁদপুরের সকল স্পিডবোট আমাদের তালিকার মধ্যে নিয়ে এসেছি। শিগগিরই স্পিডবোটের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দাউদ হোসেন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মূলত বিষয়টি কোস্টগার্ড আর নৌ পুলিশ তদারকি করবে। তারপরও জেলা প্রশাসন থেকে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। নদী পথে ডাকাতি বন্ধে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।
এসপি