লঞ্চগুলো ঘাট থেকে সরিয়ে নদীর মাঝখানে নোঙর করেন শ্রমিকরা

বরিশালে নিজাম শিপিং লাইন্সের মালিকানাধীন দুটি লঞ্চের দুই মাস্টারকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে লঞ্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন শ্রমিকরা। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করা লঞ্চগুলো ঘাট থেকে সরিয়ে নদীর মাঝখানে নোঙর করেন তারা।

বরিশাল নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাস্টার আবুল হাসেম জানিয়েছেন, অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ এর মাস্টার জামাল হোসেন এবং রুহুল আমিনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন মেরিন আদালত। প্রতিবাদে লঞ্চ শ্রমিকরা কর্মবিরতির ডাক দিয়ে লঞ্চ পরিবহন বন্ধ করেছেন। এটি সংগঠনের কোনো সিদ্ধান্ত নয়।

বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক বরিশাল নৌ বন্দরের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নৌযান শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা লঞ্চ মালিকদের নিয়ে বসেছেন। আশা করছি, দ্রুতই লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হবে।

২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বরিশালের হিজলা উপজেলার আওতাধীন মেঘনা নদীর মিয়ার চরে ঘন কুয়াশায় নিজাম শিপিং লাইন্সের দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুটি লঞ্চ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যাত্রীর ক্ষতি হয়নি। 

এ ঘটনায় দুই লঞ্চের মাস্টারসহ চারজনের সার্টিফিকেট সনদ চার মাসের জন্য জব্দ করে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে বিআইডব্লিউটিএ বাদী হয়ে মেরিন আদালতে মামলা করে। মামলার নির্ধারিত তারিখে সোমবার আদালতে হাজিরা দেন মাস্টার রুহুল আমিন ও মাস্টার জামাল হোসেন। তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান মেরিন আদালত।

এএম