আগুনে দগ্ধ গোবিন্দগঞ্জের সেই গৃহবধূ মারা গেছেন
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আগুনে দগ্ধ হওয়া গৃহবধূ নুরজাহান বেগম (৪০) রোববার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পারদুন্দিয়া গ্রামের ইউনুস আলীর বাড়িতে হঠাৎ আগুনের ঘটনা ঘটে। তখন আগুনে দগ্ধ হন তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম।
বিজ্ঞাপন
আগুনে বাড়ির দুটি ঘর, গরু, হাঁস-মুরগিসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নুরজাহান বেগমের শরীরে আগুন লাগার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, বসতবাড়িতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। এ সময় হঠাৎ বাড়ির ভেতর থেকে গায়ে জ্বলন্ত আগুন নিয়ে বেরিয়ে আসেন নুরজাহান বেগম। চিৎকার করে বাড়ির উঠানে আসার পরই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
নুরজাহানের স্বামী ইউনসু আলী জানান, হঠাৎ করে তার বাড়ির গোয়ালঘরে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আগুনে তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম দগ্ধ হন। প্রথমে নুরজাহানকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। আগুনে গরু, ঘর ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
রোববার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনুস আলীর বাড়িতে যান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত ইউনুস আলীর পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. আরিফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে রাতেই দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গৃহবধূ নুরজাহান বেগম গরুকে বাঁচাতে গিয়ে তার শরীরে আগুন লাগে। পরে দৌড়ে বাইরে এসে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
রিপন আকন্দ/এনএ