পাকুন্দিয়া পৌর নির্বাচন
ইভিএমে খুব সহজে ভোট দিলাম
দেশের সাত জেলার ৯ পৌরসভায় সপ্তম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর নির্বাচনেরও ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে এ ভোট শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১ নভেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতায়েন হোসেন স্বপন (জগ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা এখন চারজন।
তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম আকন্দ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আক্তারুজ্জামান খোকন (নারিকেল গাছ), সাবেক মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন (মোবাইল ফোন) ও ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আতাহার আলী (হাতপাখা)। নয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিজ্ঞাপন
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকুন্দিয়া পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ১৪৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৩৩২ ও নারী ভোটার ১১ হাজার ৮১২ জন। মোট নয়টি কেন্দ্রের ৭৫টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এ ভোটগ্রহণ।
এদিকে, প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা। পৌরসভার ১ নম্বর কেন্দ্র পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে গৃহিণী সালেহা খাতুন বলেন, ‘সেই ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ভোট দেওয়ার তাড়া আছে। ঘরে ফিরে কাজ করতে হবে। ইভিএমে খুব সহজে ভোট দিয়ে দিলাম। সময় বেশি লাগল না।’ একই কথা জানালেন ভোট দিতে আসা কৃষক জালল উদ্দিন।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম। তিনি জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে ৯ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে আছেন।
এসকে রাসেল/এমএসআর