গুরুদাসপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১২
নাটোরের গুরুদাসপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মহারাজপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন আলাউদ্দিন মাঝি। সংঘর্ষের সময় শিহাব নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহারাজপুর এলাকার সোহেল রানা ও তার সমর্থকদের সাথে একই এলাকার সিহাব-ইলিয়াস হোসেন ও তার সমর্থকদের বিরোধ চলছিল। এর জেরে সোমবার (১ নভেম্বর) রাতে দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে দুুই গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হলে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ঊভয়পক্ষের ১২ জন আহত হয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
সোহেল রানার সমর্থক ও মামলার বাদী আলাউদ্দিন মাঝি বলেন, পরিকল্পিতভাবে ইলিয়াস, মিন্টু ও সিহাবের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে। তাছাড়া আমাদের অন্তত ৭ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ইলিয়াস-সিহাব সমর্থকরা।
বিজ্ঞাপন
সিহাব-ইলিয়াসের সমর্থক মিন্টু বিশ্বাস বলেন, অতর্কিতভাবে সোহেল রানার নেতৃত্বে তার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে নারীসহ ৫ জনকে গুরুত্বর জখম করা হয়। আহতরা বর্তমানে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ছাড়া তিনি ঘটনার সময় এলাকায় ছিলেন না।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনায় আলাউদ্দিন মাঝি বাদি হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে শিহাব নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তাপস কুমার/আরআই