বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে নৌযান চলাচল শুরু

সারা দেশে ডাকা নৌ-ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন নৌ-যান শ্রমিকরা। একই সঙ্গে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাত থেকে নৌ-যান চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। ছয় ঘণ্টা যাত্রীদের ভোগান্তির পর রাতে এল এই ঘোষণা। 

সোমবার রাত ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক ও বরিশাল নৌ-বন্দরের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। 

নিজাম শিপিং লাইন্সের মালিকানাধীন দুটি লঞ্চের দুই মাস্টারকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেন নৌ-যান শ্রমিকরা। একই সঙ্গে দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করা লঞ্চগুলো ঘাট থেকে সরিয়ে নদীর মাঝখানে নোঙর করেন তারা।

এ অবস্থায় শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা। বৈঠকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও ছিলেন। এ সময় নৌ-শ্রমিকদের বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। বৈঠক শেষে দুঃখপ্রকাশ করে অঘোষিতভাবে ডাকা নৌ-ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন শ্রমিকরা।

বৈঠক শেষে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ নৌ-বন্দরে উপস্থিত হয়ে লঞ্চ চলাচল শুরু করতে বলেন শ্রমিকদের। এরপর শ্রমিকরা লঞ্চ চালু করেন। ইতোমধ্যে দুটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

মোস্তাফিজুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক, বরিশাল নৌ-বন্দর

বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি।

শ্রমিকদের বরাত দিয়ে বরিশাল নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাস্টার আবুল হাসেম বলেন, বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর আশ্বাসে শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। একই সঙ্গে কাজে যোগ দিয়েছেন তারা।

অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ এর মাস্টার জামাল হোসেন এবং রুহুল আমিনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন মেরিন আদালত। প্রতিবাদে লঞ্চ শ্রমিকরা কর্মবিরতির ডাক দেন।

২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বরিশালের হিজলা উপজেলার আওতাধীন মেঘনা নদীর মিয়ার চরে ঘন কুয়াশায় নিজাম শিপিং লাইন্সের দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুটি লঞ্চ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যাত্রীর ক্ষতি হয়নি। 

এ ঘটনায় দুই লঞ্চের মাস্টারসহ চারজনের সার্টিফিকেট সনদ চার মাসের জন্য জব্দ করে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে বিআইডব্লিউটিএ বাদী হয়ে মেরিন আদালতে মামলা করে। মামলার নির্ধারিত তারিখে সোমবার আদালতে হাজিরা দেন মাস্টার রুহুল আমিন ও মাস্টার জামাল হোসেন। তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান মেরিন আদালত।

এএম