পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর হাত-পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া লাবনী আক্তার (৫) বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার লাভলু শেখের কন্যা। সে ইন্দুরকানীর সদর ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামে নানা শহিদুল ইসলাম মৃধার বাড়িতে থেকে ময়নুদ্দিন মদিনাতুল মনোয়ারা আরাবিয়া নূরানী মাদরাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করত।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কালাইয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের বাগান থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসান।

জানা যায়, লাবনী নানার বাড়ি থেকে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে লাবনীর মা সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার ৫ দিন পর কালাইয়া গ্রাম থেকে শিশুটির হাতের কব্জি ও পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি বাগান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

সোনিয়া বেগম জানান, আমার মেয়ে খেলার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তুু পরে সে ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাইনি। মেয়েকে কেউ অপহরণ করে হত্যা করেছে। যারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই।

ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ূন কবির জানান, নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে কে বা কারা শ্বাসরোধে হত্যা করে নির্জন স্থানে ফেলে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আবীর হাসান/এমএসআর